Saturday, September 9, 2023

  সোমব্রেরো ফল আউট


রিচার্ড ব্রটিগান


 

কৌতুক

 

অন্য মেয়ে দুটির তাকে পছন্দ হয় না।

তারা তার বই পড়েনি। যা একটা বড় তফাৎ গড়ে দেয়। সে খুব সুপুরুষ নয়। তার একটা আকর্ষক কিন্তু খেয়ালী ব্যক্তিত্ব আছে। তার মেজাজ তাকে চালায় সবসময় এবং এটা সে মেনেও নেয়। এবং তা মাঝে মাঝেই পালটায়। কখনো কখনো সে খুব বেশি কথা বলে  আবার কখনো সে একদম কথাই বলে না। মদ খেলে সে বেশি কথা বলে। মদ না খেয়ে থাকলে সে লোকজনের সামনে খুবই মুখচোরা আর ফরমাল। আর তাকে তখন জানা বেশ কঠিন। কিছু মানুষ ভাবে সে খুবই চার্মিং আর কিছু মানুষ মনে করে সে একটি বাল। সত্যিটা আসলে রয়েছে এর মাঝামাঝি কোথাও।

কৌতুক কাহিনীর লেখক হিসেবে তার একটা জাতীয় খ্যাতি আছে কিন্তু মজার কথা হলো যখন আপনি তার সাথে কথা বলবেন আপনি প্রথমেই যেটা টের পাবেন সেটা হলো যে তার কৌতুকের কোনো অনুভূতিই নেই।

অন্য লোকজন কিছু একটা ব্যাপার নিয়ে হয়ত হাসাহাসি করছে সেখানে দেখা যাবে সে বেশ বিভ্রান্ত। অনেক সময় খুব বুদ্ধিমান লোকজন এটাকেই দারুণ মজার ব্যাপার মনে করে প্রথমবারের পর হেসে ওঠে দ্বিতীয়বার যা তাকে আরো বিভ্রান্ত করে দেয় আর ব্যাপারটা তার কাছে অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। এমনিতে সে ভালোই অনুভব করতে পারে কিন্তু ওই একটা জিনিসই সে ঠিকমত বুঝতে পারে না। এটা তার কখনোই মনে হয়নি যে কৌতুকের কোনো অনুভূতিই নেই বলে লোকে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। সে নিজেকে মজার মানুষ মনে করে কারণ যে বইগুলো সে লিখেছে তা কৌতুকের। সে বোঝেই না যে লোকজন যখন হাসাহাসি করে তখন সেখানে তাকে বিভ্রান্ত দেখায়। বুদ্ধিজীবী হিসেবে সে এটাকে পাত্তা দেয়নি এটা ভেবে যে অন্যান্যরা হয়ত একটা ঘরোয়া রসিকতা নিয়ে হাসাহাসি করছে।

কৌতুকের ব্যাপারে অনুভূতিহীনতা তার চরিত্রের এক প্রধান দূর্বলতা। সে জীবনটাকে হয়ত আরো একটু বেশি উপভোগ করতে পারত যদি সে এইসব রসিকতায় হাসতে পারত।

ও আরেকটা মজাদার ব্যাপার হলো, যখন সে লিখছে এইসব যা পরে লোকে বলবে প্রশংসা করে বলবে তা হলো শতাব্দীর সেরা কৌতুক কাহিনী, সে তা লিখতে গিয়ে হাসেনি একটুও। এমনকি একটু মুচকি হাসিও না।

অন্য মেয়ে দুটো তাকে পছন্দ করেনি।

সেটা ভালো তাদের জন্য।

জাপানি মেয়েটার জন্য খুবই খারাপ।

মেয়েটির ভালো লাগে তাকে।   

 

No comments:

Post a Comment