সোমব্রেরো ফল আউট
রিচার্ড ব্রটিগান
জামাকাপড়
তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তারা জামাকাপড় খুলে বিছানায় চলে গেল।
তারা একটা অদৃশ্য সংকেত মেনে জামাকাপড় খুলেছিল। কিছুই না বলে, কোনো ঈঙ্গিত না করেই।
তাদের ভেতর একটা কিছু ঘটেছিল আর তাই তারা একই সঙ্গে দুজনেই জামাকাপড় খুলতে শুরু করেছিল।
একটা চতুর্থ
মাত্রিক দেওয়া নেওয়া ঘটেছিল তাদের ভেতর আর তাদের শারীরিক প্রেমের শুরুতে যা চালু
হয়েছিল দু বছরের জন্য।
মেয়েটি তার
জামাকাপড় খুলে ফেলছিল যেভাবে একটা ঘুড়ি এপ্রিলের উষ্ণ হাওয়ায় আলতো ওড়ে। ছেলেটি
অপটু হাতে তার জামাকাপড় খুলছিল যেন একটা ফুটবল ম্যাচ খেলা হচ্ছে নভেম্বরের কাদায়।
ছেলেটি জামাকাপড়
খোলায় কখনো তেমন পারদর্শী ছিল না বা জামাকাপড় পরার সময়ও সে ঝামেলায় পড়ত। অনেকের
মতো সেও চান করে গা মুছতে পারত না ঠিকভাবে। পুরো গা মোছার পরও তার ৫০ ভাগ গা ভিজে
থাকত।
মেয়েটি নিজের
জামাকাপড় খুলতে খুলতে ছেলেটির জামাকাপড় খোলা দেখছিল আর ভাবছিল ছেলেটি বিছানাতেও
এরকম কিনা, আশা করা যায় তা নয়।
শরীরের এই খেলা
মেয়েটার ভালো লাগত আর সে পছন্দ করত সেইভাবে যেভাবে তার ভালো লাগে। যে ছেলেরা
বিছানায় খারাপ তাদের সহ্য করার ধৈর্য তার ছিল না।
ছেলেটি
ভাগ্যক্রমে বেশির ভাগ সময় বিছানায় খুবই ভালো ছিল। সব সময় সেটা অবাক করত মেয়েদের।
এটা ছিল তার একটা সেরা ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য।
মেয়েটির জন্য
দুর্ভাগ্যবশত এটি তার জীবনের দুটো বছর নষ্ট করারা কারণ হয়ে উঠল। যাইহোক মেয়েটি
সবকিছু চুকেবুকে যাওয়ার পর এরকমই ভেবেছিল। অবশ্যই বহু সময় যখন এই শরীরের খেলা চলছে
মেয়েটির তা খবই ভালো লাগত। ভালো সময়গুলো অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগল যখন মেয়েটি তা ফিরে
বিচার করতে বসল। সে তার জীবনের দুটো বছর ছেলেটিকে ঢেলে দিয়েছে, দিয়েছে তার যৌবন
যতটা সে নিজে না চেয়েছে তার থেকে বেশি।
নিজের জামাকাপড়
খুলে ফেলার পর মেয়েটি বিছানায় একটা চাদরের তলায় শুয়ে পড়ল। শুয়ে শুয়ে দেখল ছেলেটি্র
জামাকাপড়ের শেষটুকু খোলার অপটু চেষ্টা।
আশ্চর্য ব্যাপার
ওর বই পড়ে এমন তো মনে হয় না। সে বুঝতে পেরেছিল ছেলেটি তার বইয়ের থেকে অন্যরকম হবে।
সে শুধু আশা করেছিল বিছানায় ছেলেটি তুখোড় হবে।
আগেই বলা হয়েছে
মেয়েটির জন্য দুর্ভাগ্যবশত ছেলেটি বিছানায় ছিল তুখোড়।
No comments:
Post a Comment