Thursday, March 21, 2019

স্টকহোমের শেষদিন






বুকাওস্কি প্রথম কবে পড়েছিলাম মনে নেই আর। খুব সম্ভবত হাংরিদের প্রকাশিত কোনো কাগজে ইংরেজিতেই একটা কবিতা পড়ি। এবং আমাদের প্রকাশিত কাগজপত্রে সেটা আবার ছাপি। লোকজন আওয়াজ টাওয়াজ দিয়েছিল মনে আছে। চিরকালই অর্ধশিক্ষিত এই সবজান্তা গামছাওয়ালারা গোঁফ ফুলিয়ে যা করে আরকি। বয়স কম ছিল বলে চুপ করে গেছিলাম জবাব দিতে পারিনি। সে যুগে ইন্টারনেটও তো ছিল না। জাস্ট একটা কবিতা পড়ে তাকে নিয়ে লড়ে যাওয়ার ক্ষমতাও। অনেক পরে কোলকাতার ফুটপাতে বুকাওস্কির উপন্যাস Post Office পাই খুব সম্ভব, সেটা ২০০৩ সাল। তখন পড়ে মজা পাইনি তেমন। যেমন হার্মান হেসের সির্দ্ধার্থ পড়েও। তখনও সার্ত্রে, জয়েস, কাফকার ভুলভুলাইয়াতে ফেঁসে আছি আমি। অলংকার আর অহংকার আর ইন্টেলেকচুয়াল ত্যাঁদড়ামোর আলো অসম্ভব সঠিক বলে মনে হচ্ছে। তখনও a drop of pure light বস্তুটা বুঝলেও বোধগম্য হয়নি। ওর জন্য Wise হয়ে উঠতে হয়। Shaman হতে হয়। বুদ্ধির ধার দিয়ে ওকে ছোঁয়া যায় না। আমরা ভারতীয়রা অন্তত সাটল স্বাদের কদর বুঝি না। আমাদের বেড়ে ওঠাও তো বেসিক কালার্স-এর মধ্যেই। তীব্র ঝাল টক মিষ্টিতে অভ্যস্ত আমরা। বৌধ্য ধর্মের শূন্যবাদ তাই ভারতে জন্মেও ভারতে ঠেক পায় না। জাপান তাকে সাদরে গ্রহণ করে। আমরা আর কী করে হাইকু বুঝবো। আমাদের ভালো লাগবে জয়েসের ইউলিসিস। কারণ সেটা বোঝা যায় না। শব্দের সার্কাস আর ফর্ম নিয়েই আমরা মজে আছি।
এখানে একটা মজার গল্প বলি। আমার চোখ যেদিন প্রথম খোলে তার গল্প। একবার এক জার্মান ভদ্রমহিলার বাড়িতে খেতে গেছি। এক প্লেট স্প্যাগেতি চলে এলো। এক চামচ মুখে দিয়ে মনে হলো এ আবার কী? এতো স্রেফ সেদ্ধ। ভুরুটুরু কুঁচকে দ্বিতীয় চামচ খাওয়ার পর টের পেলাম সেই পাতার গন্ধ। খুব সূক্ষ্ম। আমাদের চড়া দাগের জিভে যা চট করে ধরা দেয় না। দেবে না। সাহিত্যের পাঠও ঠিক তাই। সেরিনিটির মজা মোৎজার্টের মিউজিকের মতো যে পেলো সে বর্তে গেল। যে পেলো না তার জন্য করুণা ছাড়া আর কী থকতে পারে।
এত বছর পর বুকাওস্কিকে আবার ইন্টারনেটে আবিষ্কার করলাম এই তো সেদিন। হুড় হুড় করে পড়ে ফেললাম Ham on Rye, Hollywood, Women, Factotum এবং আরেকবার সেই Post Office-এর পুরোনো বইটা। নেট থেকে নামানো তাঁর বেশ কিছু কবিতাও। মানে একটা বুকাওস্কি জ্বর নিয়েই স্টকহোম পৌঁছেছিলাম।
১৯এ নভেম্বর ২০১০ সন্ধ্যায় সুইডিশ কবি হেনরি দিনানদারের বাড়িতে আমন্ত্রণ। বোয়েল আমাকে হোটেল থেকে পাঁচটা নাগাদ তুলে নিয়ে যাবে। সেরকম কথা আছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যথারীতি একটা ছোট্ট বোতল নিয়ে বাথরুমে গেলাম। হেগে কাগজ দিয়ে মোছার অভ্যাস আমার কোনোদিনই নেই। কেমন যেন গা ঘিন ঘিন করে। কোনো বাথরুমেই মগ বলে কোনো বস্তু নেই তাই বেসিন থেকে জল ভরে বোতল দিয়ে কাজ সারতে হতো আমায়। তারপর একটা চওড়া টিসু নিয়ে পেছন মোছা। এই চওড়া টিসুটার নাম দিয়েছিলাম আঁস ওয়াইপ, জানি না এটার সত্যিই তাই নাম ছিল কিনা।
ঘর থেকে বেরিয়েই ঝট করে স্লট মেশিনে ক্রোণা ঢুকিয়ে এক কাপ কড়া গরম কালো কফি নিয়ে নেটে বসলাম। এথেন্সের জন্য কত লাগবে এখান থেকে তাই দেখতে। এই ঠাণ্ডা আর সহ্য হচ্ছিল না। মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়ার পর একবার ফেসবুকে ঢুকলাম। দেখি হেনরি আমার কবিতা পাঠের ফটোগুলো আপলোড করেছে। আর সারা পৃথিবী থেকে আসা কমেন্টগুলো পড়তে মজাই পাচ্ছিলাম।
সকালবেলা বেরিয়ে পড়লাম কোনো ট্রাভেল অফিস যদি পাওয়া যায় তাহলে প্লেনের টিকিটটা কাটবো এথেন্সের জন্য। ইয়োরোপের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। এথেন্সে ঠাণ্ডাটাও অনেক কম। কোলকাতার ঠাণ্ডার মতো। কিছুটা ভারতীয় টাকা ছিল কাছে। একটা Forex Exchange খুঁজে সেটাকে প্রথমিক ভাবে ভাঙ্গিয়ে ইউরো করলাম কিন্তু বেশ খানিক্ষণ হাঁটাহাটি করেও কোনো ট্রাভেল এজেন্টের অফিস চোখে পড়ল না। বেরোবার সময় কেন যে রিসেপশনে জিজ্ঞেস করিনি কে জানে।
সারাক্ষণই মানুষের কেন যে খিদে পায়! রাজাদের হাঁটাহাঁটির জন্য একটা বাগান যা এখন জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে যার এক কোণে বাচ্চাদের স্কেটিং করার জন্য একটা স্কেটিং রিং। কিছুক্ষণ তাদের হুল্লোড় হৈ হৈ দেখতে দেখতে এগোলাম সামনের দিকে। বাচ্চাদের এই হুল্লোড় চিৎকার পৃথিবীর সব জায়গায় একই, সে বোসপুকুরই হোক বা এই সুইডেন। রাস্তার উপর একটা রোলের স্টল দেখলাম। খাবার দাবার বেশ সস্তা কিন্তু এই দশটা এগারোটার সকালেও সেটা জাস্ট বন্ধ। অতএব আরেক ঢোক জল আর হাঁটা, আর ছবি তোলা। রাস্তায় এদিক ওদিক দাড়িয়ে লোকে সিগ্রেট ফুঁকছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়ে স্মোকার অনেক বেশি। আরেক ঢোক জল। তারপর রাস্তা পেরিয়ে আরেকটা নতুন গলিতে ঢুকে পড়া। মনে মনে অবশ্য ভয় করছিল হারিয়ে না যাই। কোলকাতাতেই তো কতবার এই হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোড সেন্স আমার চিরকালই খুব খারাপ। তাই খুব বাড়াবাড়ি না করে আরেকটা চক্কর মেরে উঠতে উঠতে হঠাৎ আবার অন্ধকার করে এলো। আর সঙ্গে সেই তীব্র ঠাণ্ডা হাওয়া। সোজা হোটেলের দিকে পা চালানো ছাড়া আর গতি নেই বুঝলাম। যাকগে সুটকেশ গোছাতে বেশ ভালোই লাগে আমার। আবার আরেকটা বেরিয়ে পড়ার জন্য তৈরি হতে।
চাবি কার্ড দিয়ে গেটের পর গেট পেরিয়ে আবার আমার ঘরে।



I have died too many times
believing and waiting, waiting
in a room
staring at a cracked ceiling
waiting for the phone, a letter, a knock, a sound…
going wild inside 
বুকাওস্কির এই কয়েকটা লাইন মাথায় পাক খাচ্ছিল। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি হঠাৎ ফোনে ঘুম ভাঙল।
-‘আমি পৌঁছচ্ছি তুমি বেরিয়ে এসো। ওই একই জায়গায় দেখা হবে আমাদের’। বোয়েল। তাড়াতাড়ি উঠে দ্রুত জামাকাপড়, জ্যাকেট, গ্রাফিত্তির কালো ঝোলা তুলে আমি বেরিয়ে পড়লাম। গেটের পর গেট পেরোতে পেরোতে মাথা ঢাকা টুপিটা টেনে পরতে পরতে। একমুখ হাসি নিয়ে দেখি বোয়েল দাড়িয়ে।
‘তুমি তো ওল্ড টাউন দেখনি। যাবে নাকি?’
‘আলবাত’।
‘চলো। হাঁটতে অসুবিধে নেই তো?’
‘একদম না।‘
শহরের মধ্যে আরেকটা শহর এই ওল্ড টাউন। তার এদিক ওদিক চলে যাওয়া পাথুরে রাস্তারা আর তার উপর অদ্ভুত মায়াময় এক হলুদ আলোর রূপকথা। একটা সন্ধ্যের বরাত আমার। ক্যামেরা চালিয়েও সুবিধে হচ্ছিল না। আলো বড় কম। চোখ দেখতে পেলেও ক্যামেরার চোখে তাকে বন্দী করার চেষ্টা বৃথা যাচ্ছিল। ফ্ল্যাশে তুলে পুরো রূপকথাটা খবরের কাগজের ফ্ল্যাট নিউজ করতে চাইছিলাম না আরকি।
একটা ছোট্ট দোকান দেখে দাড়িয়ে পড়লাম। দোকানের বাইরের ফুটপাতে নানান জিনিসের সাথে সস্তায় কিছু পিকাচার পোস্টকার্ড সাজানো আছে। কয়েকটা পিকচার পোস্টকার্ড বাছলাম কিনব বলে। তারপর ভেতরে গিয়ে একটা ছোট্ট টেবিলটপ ক্যালেন্ডারও পছন্দ হলো, বোয়েল কিছুতেই আমাকে দাম মেটাতে দিলো না।
‘আমি এটা তোমায় উপহার দিচ্ছি’।
ওখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে একটা ছোট্ট বাজার। ঘুরতে ঘুরতে দুজন বয়স্ক ভদ্রমহিলার ছোট্ট দোকানে এসে থামলাম। রকমারী সুইডিশ মারমালেড। কমলালেবুর আচার। এটা ওটা চাখতে চাখতে ওয়াইন দিয়ে তৈরি একটা আচার পছন্দ হলো আমাদের। দুটো বোতল কিনলাম। একটা বোয়েলের জন্য উপহার আর অন্যটা বাড়ির জন্য। যা অবশ্য বাড়ি অবধি আর আসেনি। এথেন্সের এয়ারপোর্টে হ্যান্ড লাগেজে ওটা রাখার অপরাধে সেটা আমাকে বহু অনুরোধের পরও ট্র্যাশ করতে হয়েছিল
বোয়েল  একদম নিরামিষাশী আর আমি তো সর্বভূক প্রায়। তাই আবারও একটা মাংসের দোকানে দাড়ালাম। নানারকম মাংস দেখতে দেখতে বিশাল বিশাল সসেজের মতো অথচ টকটকে লাল মাংস দেখে থমকালাম।
‘ওই বস্তুটা কী বোয়েল?’
‘ওটা? ওটা একটা স্পেশাল ডেলিকেসি। মাংসের মধ্যে রক্ত মেশানো’।
পেটটা কেমন গুলিয়ে উঠল। আর এক মুহূর্ত দাড়ালে আমার বমি হয়ে যাবে। আমি হাঁটা দিলাম।
‘কী হলো, কিনবে না?’
‘না থাক বোয়েল। থাক বরং চলো একটু কফি খাই’।
কফি খেয়ে ওখান থেকে হেঁটে কাছেই একটা পাতাল রেল স্টেশন। এই প্রথম দেখলাম সামনে টুপি খুলে মাটিতে রেখে একটা ছেলে গিটার বাজিয়ে গান গাইছে। পরে শুনেছি সুইডেনের দুঃখীদের জায়গা আন্ডারগ্রাউন্ডে। শহরের উপর এদের দেখতে পাওয়া যায় না। আমি টিকিট কাটতে গেলে বোয়েল বারণ করলো। আমাকে নাকি টিকিট দেওয়া হবে না। তবে কি সুইডিশ পাতাল রেল শুধুমাত্র সুইডিশদের জন্য? কোলকাতার মতোই চাপাচাপি ভিড় নিয়েই এই টিউব রেল ভ্রমণ। নেমে বাড়ি খোঁজার পালা এবার। বোয়েলও এই প্রথম হেনরির বাড়ি যাচ্ছে। দুজনে এক শহরের বাসিন্দা হয়েও ওদের আলাপ আমার সূত্র ধরেই। ভাবা যায়।
বেল বাজানো হলো। ওপর থেকে সুইচ টিপে নীচের দরজা খুলে দিলো হেনরি। আমরা লিফটে চেপে পৌঁছলাম হেনরির ফ্ল্যাটে।
ঢোকার মুখে একটা এক চিলতে ঘরে জ্যাকেট জুতো খুলে রেখে লম্বা ড্রইং রুমটায় ঢুকলাম। একদিকে কামিনী প্রেসের যুদ্ধ ক্ষেত্র। কাটিং মেশিন। কাটা কাগজ। কিছু বই মলাটহীন। কিছু তৈরি একদম। দেওয়াল জোড়া বইয়ের র‍্যাক, বইয়ের আলমারি আর পেইনটিং, ফোটোগ্রাফ, পোস্টার। বই দেখলেই চিরকালই ভেতরটা কেমন গুর গুর করে ওঠে আমার। একটা বন্ধ আলমারির কাঁচের এপার থেকে বই দেখছি, দেখি হেনরি এগিয়ে আসছে গুটি গুটি।
‘এটা বুকাওস্কির আলমারি। ওর সমস্ত বই এখানে আছে। সব। বুকাওস্কি আমার প্রিয় লেখক’। 
যার বই পাওয়ার জন্য আমি বছরের পর বছর হাপিত্যেস করে থেকেছি তার সব বই এই আলমারিটার ভেতর। গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছিল। ভালো লাগছিল যেমন তেমন একটা যন্ত্রণাও হচ্ছিল ভেতর ভেতর। ভাবছিলাম ইয়োরোপে থাকার সুবিধের কথা। জীবনে ক্রেডিট কার্ড না থাকায় আমাজন থেকে বইও কোনোদিন আনাতে পারিনি আমি। (২০১০-এ তাই ছিল)। এই প্রিভিলেজ ওদের শুধু। আমার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই কোনো। আমার লেখক বন্ধু শাশ্বত মাঝে মাঝে বই আনাত আমাজন থেকে। শুনেছি বইয়ের দাম প্রায় দুগুণ পড়ে যায় পাঠানোর খরচ জুড়লে। কী অসহ্য অবস্থায় আমরা আছি। এর সাথে তো আনন্দবাজারের বদামীও জুড়েছে। পুরো সাউথ এশিয়ায় যে পেঙ্গুইন ইংরেজি বই ডিস্ট্রিবিউট করে তার প্রায় অর্ধেকের উপর শেয়ার এরা কিনে নিয়েছে। এখন আমরা কী ইংরেজি বই পড়বো তাও এরা ঠিক করে দেয়।
হেনরি আর বোয়েল কেউই মদ খায় না। কিন্তু আমার জন্য হোয়াইট ওয়াইনের বোতল খোলা হলো। আর আমাকে সঙ্গ দিতে ওরা দুজনে এক বোতল স্পার্কলিং ওয়াটার নিয়ে বসল। সোডা ওয়াটারের আরেকটা ভার্সান। চলল তুমুল আড্ডা। অনেকক্ষণ ধরেই হেনরি উশখুশ করছিল কিন্তু কিছুতেই মুখ ফুটে বলতে পারছিল না। হঠাৎ শিশুর মতো মুখ নিচু করে বলে উঠল –‘তোমরা আমার টি শার্টের লেখাটা দেখেছ’? এতক্ষণ সত্যিই খেয়াল করিনি লেখাটা। দেখি কালো টি শার্টের বুকের কাছে ছোটো ছোটো অক্ষরে সাদা দিয়ে লেখা – I am not working.
হেনরির এখনকার সব বই-ই আমার কাছে আছে। কিন্তু ওর প্রথম দিকের  Bottle of Smoke Press 2005-এ প্রকাশিত Weeks Like This আমার কাছে ছিল না। অতয়েব বইটা সই করে আমাকে দিলো হেনরি। সঙ্গে Chiron review-এর ৭৬ নং সংখ্যা। যেখানে হেনরির একটা বড় সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। আর বোয়েল দিলো তার কবিতার বই Karlek Som Fobi (Love as Fobia)। আর পোস্টস্ক্রিপটামের দুটো সংখ্যা। একটা James Laughlin সংখ্যা আর অন্যটা ওদের কবিতা উৎসবের কবিদের কবিতা নিয়ে একটা সংখ্যা। আর আমাদের গ্রাফিত্তি কোলকাতা ব্রডসাইডে অনুপ্রাণিত হয়ে বোয়েলরাও একটা ব্রডসাইড বার করেছে সুইডেন থেকে। চিনের কবি Mindy Zhang-এর তিনটে কবিতার সুইডিশ অনুবাদের একটা ব্রডসাইড। আর একটা হ্যান্ডমেড কাগজের সুন্দর খাতা। যেটা দিয়ে বোয়েল বলল –This is a special gift for you. Fill this up with your poems and return it to me.
আমি জাস্ট কোন জবাব দিতে পারিনি। মুখ নিচু করে বসেছিলাম কিছুক্ষণ। আমি কি এতটা ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য?