সোমব্রেরো ফল আউট
রিচার্ড ব্রটিগান
শীত
হঠাৎ মেয়রের
পিসতুত ভাই তার বক্তৃতার তোড়ে ব্রেক কষল, কারণ সে টের পেল যতক্ষণ সে মেয়রের কাছে
তার কথার যুক্তিগুলো রাখছিল ততক্ষণ কাজ হারানো লোকটা ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগোচ্ছিল
সোমব্রেরোটার দিকে।
‘যাচ্ছ কোথায়
তুমি?’ সে বলল তার সোমব্রেরোর
প্রতিদ্বন্দ্বীকে। ‘কোথায় বালের যাওয়া হচ্ছে?’
‘আমার একটা চাকরির
দরকার!’ কাজ হারানো লোকটা চেঁচিয়ে বলল। ‘আমি অনন্তকাল ধরে বেরি খেয়ে পেট ভরাতে
পারি না! শীত আসছে! আমার একটা হ্যাম-বার্গার চাই!’
‘আমার প্রিয়
বন্ধুরা,’ মেয়ের টের পাচ্ছিল ঘটনাটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ‘কী হয়েছে?’
সোমব্রেরোর দিকে
দুটো লোকই লম্বা এক পা বাড়িয়েছে আর আরো এক পা বাড়াবার জন্য তৈরি হচ্ছে তখন মেয়র
চেঁচাল, ‘থামো’।
তারা দুজনেই থেমে
গেল।
মেয়রের জন্য
সোমব্রেরোটা আনার কোনো মানে হয় না যদি মেয়র তাদের উপর রেগে যায়। তাহলে সবকিছু নষ্ট
হয়ে যাবে। একজন ইউনাইটেড স্টেটসের প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না আরেকজন চিরকাল বেকার
থেকে যাবে। প্রচুর পরিমাণে বেরি খেতে হবে। এটা জরুরী যে সোমব্রেরো পাওয়ার পর মেয়র
যেন খুশি হয়।
দুটো লোকের পা-ই
যেন মাটিতে আঁটকে গেছে। তারা আর কোথাও যাচ্ছে না। তারা অপেক্ষা করে আছে এরপর কী
ঘটে তার জন্য। মেয়রের হাতের পুতুল তারা।
‘এটা শুধুমাত্র
একটা সোমব্রেরো’, মেয়র বলল, মেয়রের গলা এখন অনেক শান্ত আর পৃষ্ঠপোষকের মতো। ‘এটা
শুধু একটা সোমব্রেরো’, সে আবার বলল, প্রায় ফিসফিস করে। ‘আমি নিজেই এটা তুলে নিতে
পারব’।
পিসতুত ভাইয়ের
মুখ দেখে মনে হচ্ছিল তার গালে একটা হাঙ্গর এক চড় মেরেছে।
বিদায় হে
প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন।
কাজ হারানো
লোকটার চোখে জল ভরে এলো।
বিদায়, চাকরি।
No comments:
Post a Comment