সোমব্রেরো ফল আউট
রিচার্ড ব্রটিগান
শ্বাস প্রশ্বাস
অন্য মেয়ে দুটি
কথা থামিয়ে তার দিকে মুখ তুলে তাকাল।
এসিয়ান মেয়েটি
তার দিকে তাকাল ভালো করে।
কখনো কোনো এসিয়ান
মেয়ে আগে তার দিকে এভাবে তাকায়নি। তার চোখ দুটো কৃষ্ণাভ আর সরু।
তার চোখটা এত সরু
বলেই হয়ত কয়েক সেকেন্ডের জন্য সে ভাবল ও কি ককেশীয়দের মতো ঠিকঠাক দেখতে পায়। এটা
ভাবতে ভাবতেই চিন্তাটা চলে গেছিল কিন্তু এ দু বছরে মাঝে মাঝেই তা ফিরে এসেছে। আসলে
সে ভাবত ঘরের ভেতর যা যা আছে ওকি সবটা
দেখতে পায় বা কোথায় আছে সেটা। হয়ত যা ঘটছে তার ৭৫% সে দেখতে পাচ্ছে।
এরকম চিন্তা তো
একটা বাচ্চার মাথাতেই আসতে পারে শুধু।
আসলে এসিয়ান মেয়ে
নিয়ে তার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না,
সানফ্রানসিস্কোর চায়না টাউন, জাপান টাউন ইত্যাদি জায়গায় তাদের দেখার অভিজ্ঞতা
ছাড়া। তাদের কেউই তার দিকে গভীর ভাবে তাকায়নি। তার চোখের দৃষ্টিতে অন্য আর একটা
কিছু ছিল যা সে আগেও দেখেছে অন্য মেয়েদের চোখে, তারা যখন তার দিক তাকিয়েছে।
সে জানে সেই
দৃষ্টি।
সে কিছুটা আরাম
বোধ করে।
‘প্লিজ বসুন’,
মেয়েটি বলে।
তারপর সে বসে
পড়ে।
মেয়েটির চোখের
অভিব্যক্তি দেখে সে বুঝতে পারে যে ব্যাপারটা ঘটবে। মেয়েটির শ্বাস প্রশ্বাস খানিকটা
অন্যরকম হয়ে গেছে। সে একটু দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে। এই দ্রুতি ছেলেটিকে খুশি করে।
ককটেল দেওয়া
ওয়েট্রেস টেবিলে আসে আর ছেলেটি ককটেল অর্ডার করে। তারপর টেবিলে একে অপরের নাম জানাজানি
হয়।
মেয়েটি জাপানি।
No comments:
Post a Comment