সোমব্রেরো ফল আউট
রিচার্ড ব্রটিগান
অ্যাভোকাডো
অবশেষে টুনা
মাছের স্যান্ডউইচের কল্পনা তার মাথা থেকে চলে হয়ে গেল আর সে ভাবতে পারল অন্য কিছু খাওয়ার কথা। ইতিমধ্যে তার খুব
খিদে পেয়ে গেছিল। দ্রুত কিছু একটা খাওয়া দরকার।
টুনা মাছের
স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অসহায়তাটা এখন গেছে মাথা থেকে আর সে ভাবতে পারছে অন্য সব
পুষ্টিকর খাবারের কথা। একটা কিছু আছে নিশ্চয়ই যেটা সে খেতে পারে।
বার্গার বাদ আর
টুনা মাছের স্যান্ডউইচও সে খাবে না।
এগুলো বাদ দিলে
হাজারও খাবার আছে খাওয়ার জন্য, তার কয়েকটা নিয়ে সে ভাবতে শুরু করে সে।
তার স্যুপ চাই
না।
রান্নাঘরে ক্যান
ভরতি মাশরুম স্যুপ আছে কিন্তু সেটা সে খাবে না।
কোনো কারণেই নয়।
সে ভাবল একটা
অ্যাভোকাডোর কথা।
ওটা বেশ হবে।
আমি একটা
অ্যাভোকাডো খাব।
সে মনে মনে এক
কামড় অ্যাভোকাডো খেল লেবুর রস দিয়ে, বেশ লাগল তার। হ্যাঁ অ্যাভোকাডো খাওয়াই সঠিক সিন্ধান্ত। তারপর তার
মনে পড়ল তার ঘরে অ্যাভোকাডো নেই আর কাছাকাছি সব দোকানপাট বন্ধ। অনেক রাত হয়ে গেছে।
মাস খানেক আগে
যেদিন জাপানি মেয়েটা তাকে বলেছিল সে আর তার সাথে দেখা করতে চায় না সেদিন সে একটা
অ্যাভোকাডো কিনেছিল। সে মানসিক ভাবে এতটাই ভেঙ্গে পড়েছিল যে ওটাকে উপেক্ষা করেছিল
আর রান্নাঘরের জানালার তাকে ওটা পড়ে থেকে ওটা পচে গেছিল। শেষে ফেলে দিতে হয়েছিল
অ্যাভোকাডোটা।
ওই অ্যাভোকাডোটা
এখন থাকলে ভালো হতো, সে ভাবল।
ওর উপর খানিকটা
লেবুর রস দিয়ে খেলে খিদেটা মিটত। তারপর সে অন্যকিছু নিয়ে ভাবতে পারবে। সে ফিরে
যেতে পারে তাকে ছেড়ে যাওয়া জাপানি মেয়েটার প্রতি তার প্রেমের ভাবনাটায় বা ফালতু
কোনো বিষয় নিয়ে আকাশ পাতাল চিন্তা করতে পারে। উদ্দ্বেগ করার জন্য বিষয়ের অভাব তার কখনো হয়নি।
ওই চিন্তাগুল তার পিছু নিয়েছে কয়েক লক্ষ প্রশিক্ষিত সাদা ইঁদুরের মতো আর সে তাদের
শিক্ষক। সে যদি তার সমস্ত ইদ্বেগকে গান গাইতে শেখাতে পারত তাহলে মোরমন টাবেরনাকেল
কয়্যারকে শুনতে লাগত ঠিক আলুর মতো।
হয়ত খানিকটা ঝুরো
ডিম ভাজা, সে ভাবল। যদিও সে জানত বাড়িতে কোনো ডিম নেই আর কোনো রেস্তরাঁয় যাওয়ার ইচ্ছে তার নেই।
হ্যাঁ, কয়েকটা
ডিম হলে ভালো হয়।
হালকা আর ফুলো
ফুলো।
একদম ওটাই।
ডিম।
No comments:
Post a Comment