সোমব্রেরো ফল আউট
রিচার্ড ব্রটিগান
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ
বিছানাটা দেখার পর মেয়েটি হাত দিয়ে তার চুল খুলে দেয়। চুলটা আঁটকানো ছিল জাপানে
তৈরি একটা সোনালি চুলের কাঁটা দিয়ে। তার গলা লম্বা আর ফর্সা একটা স্ফটিকের নড়াচড়ার
মতো মোলায়েম।
আমেরিকান কৌতুক
কাহিনী রচয়িতা মেয়েটির চুল খুলে এলিয়ে দেওয়া দেখে।
যখন সে চুলের
কাঁটাটা খুলল তার চুল রাত্রির মতো হঠাৎ ঢেকে দিলো তার গলার পেছন দিকটা।
তার লম্বা চুল
তার সাদা ইউনিফর্মের কোমরে বাঁধা বেল্ট অবধি গিয়ে পৌঁছল। বেল্টটাও সাদা। তার
জামাকাপড় মানিয়ে গেছিল তার ফর্সা রঙের সাথে।
তার শারীরিক
অস্তিত্ব যেন রাত্রি আর দিনের মিলন স্থল যেখানে দিন সংখ্যাগরিষ্ঠ আর রাত হলো
সংখ্যালঘু যা তার সরু চোখ আর মাঝরাতের
তারাহীন আকাশের মতো চুল।
সে ঘুরে খুব
সকালের ঘাসের উপর শিশিরের মতো তার হাত ছেলেটির গালে রেখে তার মুখটা ধীরে ধীরে
নামিয়ে আনল যতক্ষণ না তাদের ঠোঁট এসে মিলল একে অপরের সাথে।
তারপর তার হাত
মুখ থেকে সরিয়ে সে রাখল ছেলেটির নিতম্বে।
ছেলেটি ভাবল তার
হৃদপিণ্ড বুঝি বন্ধ হয়ে যাবে।
তার মাথায় নিজের
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার একটা ছবি ঝলক দিয়ে গেল।
ব্যাপারটা ভালোই
হবে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়
সে দেখল একটা কাপড় দিয়ে ঘোমটা দেওয়া একটি সুন্দরী জাপানি মেয়েকে যে কাপড় তার চোখের
সঙ্গে মানানসই।
মেয়েটি তার
কফিনের সামনে সামনে হাঁটছে। তাকে কবর দিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেয়েটি শবাচ্ছাদনের কাপড় ধরে হাঁটা লোকগুলো আর কফিনের
সঙ্গে একই ছন্দে হেঁটে যাচ্ছে। একটা নদীর মতো তার শবযাত্রা বয়ে যাচ্ছে এক
অবিনাশিতায়।
একটুও না থেমে।
তারা তার কবর পাশ
কাটিয়ে এগিয়ে গেল।
তারা খোঁড়া
গর্তটার জন্য দাঁড়ালো না।
তারা এগিয়ে চলল,
এগিয়ে যাবে মেয়েটার পিছু পিছু অনন্তকাল।
No comments:
Post a Comment