সোমব্রেরো ফল আউট
রিচার্ড ব্রটিগান
মেয়ে
এটার থেকে
বেরোবার একটা উপায় থাকতেই হবে।
তারপর সে বুঝতে
পারল কী করতে হবে। সে একটি মেয়েকে ফোন করল। মেয়েটি ছেলেটি ফোন করেছে বলে খুশিই
হলো। ‘তুমি ফোন করেছ দেখে ভালো লাগছে’, সে বলল। ‘তুমি চলে এসে আমার সাথে রাতটা
কাটালে ভালো লাগবে। তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে’।
মেয়েটি কাছেই
থাকে।
মেয়েটির গলায় ছিল
প্রেমের সুর।
অনেক কালই তারা
এক উদ্দেশ্যহীন প্রেমিক প্রেমিকা আর মেয়েটি বিছানায় দারুণ। সে ছেলেটির লেখা সমস্ত
বইই পড়েছে আর সে খুবই বুদ্ধিমান কারণ সে কখনই ছেলেটির সাথে তা নিয়ে কথা বলে না।
ছেলেটি নিজের লেখা বই নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে না আর মেয়েটি কখনই তার বই নিয়ে কিছু
জিজ্ঞাসা করেনি। কিন্তু তার সব বইই মেয়েটির বইয়ের তাকে আছে। তার সমস্ত বই রাখার
মেয়েটির এই অভিপ্রায় তার বেশ পছন্দ আরো বেশি পছন্দ হয় এটা যে তারা প্রায় পাঁচ
বছরের প্রেমিক প্রেমিকা কিন্তু কোনোদিনই মেয়েটি তার বই নিয়ে প্রশ্ন করেনি। সে
লিখেছে, মেয়েটি পড়েছে আর তারা বিছানায় ভালোই লাগিয়েছে।
মেয়েটি ঠিক তার
মতো শারীরিক না হলেও পুষিয়ে দিয়েছে
অন্যভাবে।
‘তোমাকে দেখতে
ইচ্ছে করছে’, মেয়েটি ফোনে বলেছিল।
‘আসছি কিছুক্ষণের
মধ্যে’, ছেলেটি উত্তর দিয়েছিল।
‘আমি আগুনে একটা
কাঠের চ্যালা দিয়ে রাখব’, মেয়েটি বলেছিল।
ছেলেটির এখন
অনেকটা ভালো লাগছে।
হয়ত ফের সবকিছু
ঠিকঠাক হবে।
হয়ত এত নিরাশ
হওয়ার কিছু হয়নি।
সে গায়ের কোটটা
চাপিয়ে দরজা দিয়ে বেরল।
আসলে সে এর
কোনোটাই করেনি কারণ সে ভাবছিল শুধু, ভাবছিল মনে মনে এসব নিয়ে। কোনোটাই আসলে বাস্তব
নয়। সে টেলিফোনটা ছোঁয়নি আর এরকম কোনো মেয়ে আসলে নেই।
সে আসলে একদৃষ্টে
তাকিয়ে ছিল ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে পড়ে থাকা ছেঁড়া কাগজের টুকরোগুলোর দিকে। সে খুব
মন দিয়ে তাকিয়ে দেখছিল টুকরো কাগজগুলো
অতলের সাথে কীভাবে ভাব জমাচ্ছে। যেন তাদের নিজস্ব জীবন আছে। এটা খুবই বড় সিদ্ধান্ত
তবু কাগজের টুকরোগুলো ঠিক করল ছেলেটিকে ছাড়াই তারা এগোবে।
No comments:
Post a Comment