আমি মনে করি আমার
সমস্ত পাঠক পাঠিকাই প্রাপ্তমনস্ক তাই লিন্ডা কিং-এর এই বইয়ের যৌন অনুষঙ্গগুলো নিয়ে
তারা বাড়তি লাফালাফির দিকে যাবেন না কারণ তারা জানেন শরীর এবং মন এক সূত্রেই
বাঁধা। প্রেম থাকলে শরীর থাকবে। আর যৌনতাটা পাইখানা, পেচ্ছাপ পাওয়ার মতোই
প্রাকৃতিক ঘটনা মাত্র।
লিন্ডা কিং মূলত একজন ভাস্কর। তার করা বুকাওস্কির হেড
বাস্টটির ফটোগ্রাফ আপনারা দেখে থাকবেন যা পৃথিবী বিখ্যাত। চার্লস বুকাওস্কির সাথে
একসাথে কবিতার বইও বেরিয়েছে তার।
চার্লস বুকাওস্কিকে নিয়ে অনেক বই আছে কিন্তু কোনোটাই এ
বইয়ের মতো নয়। এটা যেন আয়নার অন্য পাশ দিয়ে দেখা। ওদের পাঁচ বছরের প্রেমের ঝোড়ো
জীবনের জীবন্ত দলিল। তাই অনেক সময়ই অপরিমার্জিত, কিছু না লুকোবার চেষ্টা করে
বলে যাওয়া সেই আবেগের দিনগুলোর কথা, সেই গভীর প্রেম আর
প্রেমহীনতার কথা, যা সরাসরি ধাক্কা মারে আমাদের হৃদয়ে কোথাও।
চতুর্থ ভাগ
বুকাওস্কি খুব ভালো চিঠি লিখত।
‘যখন একটি মেয়ে আমাকে সেই মন্দিরে
ঢুকতে দেয় – সেই যোনি – সে আমাকে তার আত্মার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়, তার সবকিছুর ভেতরে।
প্রথম শোয়াটা সাধারণত ঠিকঠাক কাজ করে না কারণ শরীরের ওই অংশগুলো আগে আসেনি
কাছাকাছি আর মানিয়ে নেয় নি একে অপরকে। একটি মেয়ের যোনি শেষ অবধি একটি পুরুষের
লিঙ্গের সঙ্গে মিশ খায় তাদের অনেকবার দেখা হওয়ার পর। তাকে চারদিক থেকে চেপে ধরে,
তার মতো আকার ধারণ করে। এটা প্রথম শোয়ায় হওয়া সম্ভব নয় আদৌ। (২৫-এ জানুয়ারি, ১৯৭১)’।
‘আমি ওই ছুঁকছুঁক করা বূড়োদের লাইন
ব্যবহার করব না, - আমি তোমার যোগ্য নই ইত্যাদি। আমি তোমার যোগ্য কিন্তু তুমি
জানোনা তা। আমি যেমন কুৎসিত, তাও দাবী করে তোমায়...
তোমার হাতে-হাঁটা আমি পছন্দ করি। অন্য
অনেক কিছুর থেকে ওটা আমাকে অনেক বেশি যৌন উত্তেজনা দিয়েছিল। তুমি যাই করো তাই
আমাকে পাগলের মতো উত্তেজিত করে। সিলিং-এর দিকে
মাটি ছুঁড়ে দেওয়া...ওরে মাগি, ওরে জ্বলন্ত যৌবন, ওরে সোনা, সোনা মেয়ে...তুমি আমার
ভেতর সৃষ্টি করেছ নতুন কবিতা আর নতুন আশা আর নতুন আনন্দ আর নতুন কৌশল এই বুড়ো
কুত্তাটার ভিতর। আমি তোমার ফলনার চুলদের ভালোবাসি যাদের আমি আমার আঙুলে স্পর্শ
করেছিলাম, তোমার যোনির ভেতরটা সেই গরম আর ভেজা জায়গাটা। তুমি তোমার
রেফ্রিজারেটারের সাথে সেঁটে, তোমার রেফ্রিজারেটারটা কী যে ভালো, তোমার মাথার চুল
ঝুলছে, দুলছে, পোষ না মানা, ওখানে তুমি, তোমার বুনো পাখিটা, তোমার বন্যতা, তোমার
জিভ... আমি বারব্যাঙ্কে তোমার কাছে আর আমি তোমার প্রেমে, ও আমার দেবী, আমার ভগবান,
আমার মাগি, আমার দপদপানো শ্বাস নেওয়া চুলে ঢাকা স্বর্গের যোনি, আমি তোমায় ভালবাসি...
ভালোবাসি তোমার রেফ্রিজারেটার কে, আর যখন আমরা জড়াজড়ি করছিলাম কুস্তি
করছিলাম...তোমার ভাস্কর্যের মাথাটা দেখছিল আমাদের ওর সেই কাব্যিক সিনিকাল প্রেমের
হাসি মেখে, যেন জ্বলছিল...
আমি তোমায় চাই, আমি তোমায় চাই, আমি
তোমায় চাই
তোমায় তোমায় তোমায়
বিউক
২রা ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১’।
বুকাওস্কির নামটা সারাক্ষণ মাথার ভেতর
বাজতে থাকল। বুকাওস্কি, বুকাওস্কি, বুকাওস্কি। আমি বার বার ওই নাম বলতে থাকলাম। আমি
ওকে হ্যাঙ্ক, চার্লস বলে ডাকতাম না, যেভাবে ওর বন্ধুরা ওকে ডাকত। সবসময় বুকাওস্কিই
বলেছি।
ভাস্কর্যটা শেষ হয়ে আসছিল। চোখের
দৃষ্টিটা ঠিক করতে হবে এবার। সময় এত দ্রুত চলে গেছে। যদিও আমরা দুটো গরম খাওয়া
কুত্তার মতো চুমু, আদর, একে অপরের শরীর আবিষ্কার করেছি তবু আমি নিজেকে বার বার
বলেছি আমি কিছুতেই বুকাওস্কির সাথে জড়িয়ে পড়ব না। আরেকটা চিঠি পেলাম সে সময়।
‘তোমাকে আমি আদর করতে পারি ১২ ঘন্টা
জুড়ে একবারো না থেমে। আমি একটা চুমু খাওয়ার প্রতিযোগিতার কথা পড়লাম। জয়ীরা চুমু
খেয়েছিল মাত্র ২৪ ঘন্টা। হে ভগবান, এ তো কিছুই নয়।
রাস্তায় আমি মেয়েদের দিকে দেখি। বলি,
এ মেয়েটা লিন্ডার থেকে ভালো দেখতে। আরে, ওই মেয়েটা তো প্রায় লিন্ডার মতোই ভালো
দেখতে...আর তারপর ভাবি এরা কেউই লিন্ডা নয়। তারপর ভাবি, এসব বাদ দাও হে, ঘোড়
দৌড়ের মাঠের জন্য তৈরি হও। টাকাটা থাবড়ে রাখো যে ভাবে তুমি ভেবেছ। ভালোবাসা মারা
গেছে। ভালোবাসা হলো ১৮৯০। ভালোবাসা হলো সেই চ্যারিটি রেস যেখানে যিশু দৌড়চ্ছেন
চতুর্থ স্থানে পৃথিবীটাকে নির্মল করার জন্য’।
তারপর ডাকে এলো একটা কবিতা।
যখন শয়তান বেরিয়ে আসে ভালোবাসার জন্য
শোনো হে, শুরু করে দাও
লেখো কতগুলো স্টিলের জুতো পরা
নীল-চোখো কবিতা
তাদের দীর্ঘ লিঙ্গ আর রক্তাক্ত মুখ,
যেহেতু তুমি বসে আছো ওই তরুণী মেয়েটার
বাড়ি
কফি খাচ্ছ যখন সে তার রান্নাঘরে তোমার
ভাস্কর্য বানাচ্ছে
দেখছে
তোমার দিকে তার খয়েরি চোখ দিয়ে যা
পৌঁছে যাবে
পৃথিবীর আগ্নেয়গিরিতে
সম্মোহিত অবস্থায়
তুমি দেখবে তাকে তুমি সেঁটে ফেলেছ
ফ্রিজের গায়ে
-তুমি কী করছ?
-তুমি কী করছ আমায়? সে জিজ্ঞাসা করে,
আর তুমি যখন তাকে চুমু খাও, তার চোখের
মণি পেছনে চলে যায়
ভাস্কর্যের যন্ত্রপাতিগুলো একা একা
পড়ে থাকে টেবিলে
অপেক্ষা করে মাটি-
সেই মাটি সেই মাটি সেই মাটি-শোনো হে,
শুরু করে দাও।
যেহেতু তোমার মাথার ভাস্কর্য তৈরি
করছে একটি মেয়ে
আর তাকাচ্ছে তোমার দিকে
তুমি-
শোনো, তোমার কবিতার কথা মনে রেখ,
বুকাওস্কি
পৃথিবীটা নিয়ে কবিতা লেখো, লেখো
বস্তি বাড়ি নিয়ে,
আগুন নিয়ে আর আত্মহত্যা আর-
-আস্তে, ও বলছে আস্তে, ওই যে আমার
মেয়ে-
ওর ৩ বছরের বাচ্চা মেয়েটা ঘরে এসে
ঢুকল,
-মামাম, আমার আঙুলে লেগেছে-
-তুমি আঙুলে লাগিয়ে ফেলেছ? আহা রে
সোনা আমার-
তুমি বসে পড় আবার, কফিটা ঠাণ্ডা হয়ে
গেছে
অন্যকিছু তোমার সামনে আগুন হয়ে আছে
সে আবার ভাস্কর্যের যন্ত্রপাতি হাতে
তুলে নেয়
-ওই শয়তানের হাসিটা ফুটিয়ে তোলার জন্য
সে একটা যন্ত্র তোমার দিকে তুলে
নাড়ায়,
একটা যন্ত্র যার মাথায় একটা ছোট লুপ
আছে
খয়েরি আগ্নেয়গিরি-চোখ জ্বলে ওঠে হাসির
আগুনে, সে হাসে,
তুমিও হাসো-
পর্দা ভেদ করে রোদ এসে ঢোকে,
হারিয়ে যেওনা শূন্যতায়, হারিয়ে যেওনা
ভালোবাসার
ফাঁকা জায়গায়-তুমি হয়ত ফিরে আসবে না
বা তুমি হয়ত
ঠিকই ফিরে আসবে
দ্রুত – ধাম –
পৃথিবীর মাটিতে আবার, ভেঙে চুরমার,
তাকিয়ে দেখছ ঘরের কোণার নোংরায়
মাকড়সার জালের দিকে
যেখানে তোমার টাইপরাইটার গর্জন করছে –
(আমি সুযোগটা নেব।)
(বোকার মতো কাজ করোনা।)
রাতের খাওয়ার খাওয়া এক জায়গায় মোমবাতি
জ্বালিয়ে
মদও সরাতে পারে না এইসব –
- কবে
তুমি আসতে পারবে আরেকবার বসতে?
, কাল, বুকাওস্কি বলে, পরশু আর
তার
পরের দিন আর তার পরের দিন আর চিরকাল
যদি
এটা চলে চিরকাল ধরে, ওই মাথাটা শেষ হয়ে গেলে
কাঁদব
আমি –
তোমার
পেছনের আলোটা তোমায় বয়স কমিয়ে দিয়েছে, মেয়েটা বলে
তোমাকে
লাগছে ১৮ বছরের...
এটা
আমার পেছনের আলোর জন্য নয়, বুকাওস্কি বলে,
শেষমেশ
সে আর সিনিকাল নয়, শেষমেশ আর সেই শয়তানটা নয়,
মদটা
শেষ করতে করতে তাকে দেখে আর টের পায়
সেরা
কবিতাগুলো এখনো লেখা হয়নি,
কিন্তু
বিল নিয়ে আসে টেবিল সামলানো মেয়েটা
আর
লোকটি টাকা দেয়, বেরিয়ে আসে ভাস্কর মেয়েটির সাথে
এটা
ভাবতে ভাবতে যে সে কি সঠিক পুরুষ বা এতটাই খাঁটি
যে
লিখতে পারবে এইসব
বাঁচবে
এটাতে
করবে
এটাতে।
এটা নষ্ট
না করে যা প্রায় অন্য সবাই করে
হ্যাঁ,
সে স্থির করে, সে পারবে আর সে হাত রাখে
তার
কোমরে
তার
উরুর মাংস ধাক্কা মারে তার উরুতে
চাঁদ
উঠে আছে ওইখানে
পৃথিবী
কাঁপছে
যখন
একটা লাল আলোর ঝলকানি ছুটে যায় আকাশের ভেতর
একটা
বাজপাখি তাকে দু টুকরো করে
আর
তারা দুজনে গাড়িতে গিয়ে ওঠে
আর
চালিয়ে বেরিয়ে যায়
সেটা
পরীক্ষা করে দেখবে বলে
চার্লস
বুকাওস্কি
(মি অ্যান্ড
ইয়োর সামটাইমস লাভ পোয়েমস, কিসকিল প্রেস, ১৯৭২)
বুকাওস্কি
যখন এলো ভাস্কর্যের জন্য বসতে সে আমাকে একটা চুমু খেলো। আমার ছোট মেয়েটা নিজের
ঠোঁটে হাত দিয়ে বললো, ‘আমার মা-কে চুমু খাবে না’।
বুকাওস্কি
আমাকে কতগুলো কবিতার বই দিলো, ‘এখানে গোটা দুই পত্রিকা আছে যেখানে আমার কবিতা
বেরিয়েছে। ‘ভ্যাগাবন্ড’ আর ‘ওয়ার্মঊড রিভিউ’ সেরা। মারভিন ম্যালন সেরা কাগজটা
করে’।
আমার
হাতে মাটি ছিল। আমি কাজ শুরু করে দিলাম। ওর চোখের চারধার আর নাকের খুঁটিনাটি। ও আমার চোখের গভীরে তাকাল যখন আমিও দেখছিলাম ওর দিকে। আমার কেমন যেন করছিল শরীরটা।
‘আমি
এখান থেকে চলে যাব,’ আমি বললাম। ‘আমার বোন লা রে একটা অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে,
ওখানেই আমরা সবাই উঠে যাব। এখান থেকে অবশ্য খুব বেশি দূরে নয়। লা রে বড় অ্যাপার্টমেন্টটাতে
থাকবে, ] আমি সামনেটা নেব আর জেরি নেবে পেছনেরটা। আমারটাতে একটা ফায়ার প্লেস আছে’।
‘ওটা
কোথায়’?
‘রিভারসাইড
ড্রাইভে। আমার কারিসার জন্য ভয় হয় পাছে এখানে ও সুইমিং পুলে পড়ে যায়।
অ্যাপার্টমেন্টের দরজাটাই তো খোলে একেবারে সুইমিং পুলের সামনে'।
‘নিলী
চেরি আর আমি একটা পত্রিকার পাতা যথাযথ ভাবে সাজানোর (কোলেটিং) পার্টি রেখেছি
আমাদের পত্রিকা ‘লাফ লিটারারি অ্যান্ড ম্যান দা হাম্পিং গান্স’-এর জন্য এই
শুক্রবার। তুনি আসবে’?
‘একটা
কপুলেটিং পার্টি, দারুণ, আমার তো কপুলেট করতে ভালোই লাগে...নাকি তুমি বললে কোলেটিং...’
‘ওই
পাতাগুলো একসাথে গোছানো আরকি। ওটা কপুলেটিং পার্টিও হতে পারে, যদি তুমি তাই চাও’।
‘একটু
মজা করছিলাম। আমি জানি না যাবো কিনা। কারা থাকবে ওই পার্টিতে’?
‘একদল
গাঁড় মারানো লেখক’।
‘লেখকদের
আমার ভয় করে। ওদের সাথে থাকলে আমি কথাই বলতে পারি না’।
‘আমিও
তো লেখক। আমাকে তুমি তো অনেক কিছুই বলেছ।‘
‘এই
মাটি নিয়ে কাজ করতে করতে অনেকটা সময় পেয়েছি একে অপরকে জানার’।
‘নীলিটা
নার্ভাস। ও ওখানে পাগলা হয়ে যাবে’।
‘কখন
শুরু হবে তোমার পার্টি’?
ও আমার
মুখের উপর পড়ে থাকা এক গোছা চুল তুলে নিয়ে হাত বুলিয়ে আমার বুকে এসে থামল। আমি
উদ্দীপিত হয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ ও উঠে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করল।
‘তোমার
বোন তোমার মেয়ের দেখাশোনা করছে, তাই না’?
‘হ্যাঁ’।
আমি তাকালাম ওর দিকে। ‘বুকাওস্কি, তুমি কী করছ? ভাস্কর্যটার কী হবে? ভাস্কর্যটা
নিয়ে কাজ করা দরকার আরো’।
শুক্রবারের
আগে আর দেখা হবে না আমাদের’।
‘আমার
বোন উঠনের ওদিকেই থাকে। ও কিন্তু চলে আসতে পারে’।
‘কেয়ার
করিনা আমি। তুমি দিনের পর দিন সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে আমাকে ক্ষেপিয়ে তুলছো’।
ও
আমাকে দু হাতে তুলে নিয়ে বেডরুমে নিয়ে গেল।
‘তোমার
মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দাঁড়াও। এটা ঠিক সময় নয়’।
‘আমি
তোমাকে এটা প্রমাণ করে দেবো যে ওই ফলনা কে আমি ভয় পাই না’।
‘আরে
ওই কপুলেটিং পার্টি অবধি তো অপেক্ষা করা যায়’।
‘না।
এখনই দরকার’।
বিছানাতে
আমরা আদর করা শুরু করলাম। আর চুমু খেতে খেতে ও আমার জামা আমার ব্রা খুলতে শুরু
করল। আমার প্যান্ট খুলে গেল তারপর আমার প্যান্টি।
‘দাঁড়াও,
দাঁড়াও। দেখা যাক না আমরা কতক্ষণ চুমু খেতে পারি’, আমি বললাম।
ওকে
থামানো গেল না। এটা বলেও থামান গেল না, ‘বুকাওস্কি ওখান থেকেই রক্তটা বেরোয়’।
আমার
তখন মেশানো অনুভূতি, এই হঠাৎ করে ব্যাপারটা ঘটে যাওয়া আর আমার ভয় যে কোন মুহুর্তে
আমার মেয়ে যদি চলে আসে, আমাকে ব্যাপারটা উপভোগ করতে দিল না। আমরা একটা পাগল করা
যৌন উন্মাদনার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু আসল সময়ে দেখা গেল ওরটা মিঃ পি-র মতোই নরম হয়ে
রইল। আমার বুকে যেন ধ্বস নামলো এই সমানে একটানা মদ খাওয়া কি ওর করতে পারার বারোটা
বাজিয়ে দিচ্ছে। আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না কারণ ঠিক তখনই দরজাটায় ধাক্কা দিল
কেউ। আর আমরা বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে জামা কাপড় পরতে লাগলাম।
পরে ও
যখন আমায় ফোন করলো ও বললো ওরটা নরম হয়েছিল কারণ আমি ওটা ভেতরে নিই নি। ‘তুমি আমায়
থামাতে চেয়ে এমন সব কথা বলছিলে যাতে আমি ঘেন্না পাই। ওখান দিয়ে আমরা মুতি’।
আমি
হাসলাম, ‘ওই কথাগুলো তুমিই আমায় বলেছিলে কয়েক মাস আগে’।
‘তোমার
ভেতরের এই কমেডিয়ানটাকে আমি বেশি ভালোবাসি শিল্পীটার থেকে। যদিও দুটোই একই
ব্যাপার। একজন ভালো শিল্পীর ভালো কমেডির বোধ থাকে’।
পরে ওর
কবিতা এলো ‘হাফ এন হাফ’-এর জন্য।
ভালোবাসার
গান
আমি
তোমাকে খেয়েছি পিচ ফলের মতো
আমি
গিলে নিয়েছি দানা
আর আঁশ
তোমার
পায়ের ভেতরে বন্দি হয়ে
আমি
চুষেছি চিবিয়েছি আর জিভ দিয়ে চেটেছি আর
গিলে
নিয়েছি তোমায়।
টের
পেয়েছি তোমার শরীরের কাঁপন আর বেঁকে দুমড়ে
এক হয়ে
যাওয়া
মেশিন
গান চালানো
আর,
আমি আমার জিভটাকে বিন্দু করে তুলেছি
আর
গিলে নিয়েছি
পাগলে
গিয়ে
তোমার
ভেতরটার সবটুকু
তোমার
যোনি পুরোটাই আমার মুখের ভেতর
আমি কামড়েছি
আমি
কামড়েছি
আমি
গিলেছি
আর
তুমিও
পাগল
হয়ে গেছিলে
আর আমি
সরে এসে চুমু খেয়েছি তোমায়
তারপর
তোমার পেট
তোমার
নাভি
তারপর
হড়কে নেমে গেছি
তোমার
সাদা ফুলের মতো পায়ের মাঝে
আর
চুমিয়েছি আর কামড়েছি আর
মুখ
দিয়ে খুঁটেছি
সমস্ত
সময়
আরেকবার
ওই
অসম্ভব যোনির চুলগুলো
ডাকছে
আর ডাকছে
যখন
আমি নিজেকে সরিয়ে রেখেছি
যতক্ষণ
পারি
তারপর
ঝাঁপিয়ে পড়েছি ওর উপর
চুষেছি
আর জিভ নাড়িয়েছি
আমার
আত্মার চুল
আমার
আত্মার যোনি
এক
মিরাকেল বিছানায়
বাচ্চারা
বাইরে চিৎকার করছে
স্কেট
করতে করতে
সাইকেল
চালাতে চালাতে
বিকেল
৫টায়
সেই
অসম্ভব দারুণ সময়ে
বিকেল ৫টায়
সমস্ত
প্রেমের কবিতা লেখা হয়েছিল
আমার
জিভ সেঁধিয়েছিল তোমার যোনিতে তোমার আত্মায়
আর নীল
বিছানার চাদরটা ছিল
আর
সেটা গান গাইছিল আর গান গাইছিল
আর গান
গাইছিল।
আমার
কবিতাটা ভালো লেগেছিল, অবশ্য ‘হাফ এন হাফ’-এর জন্য নয়। পরে ওটা ব্যবহার করেছিলাম ‘মি
অ্যান্ড ইয়োর সামটাইমস লাভ পোয়েমস’ বইয়ে আর একটা এরোটিক আন্ডাররগ্রাউন্ড ম্যাগাজিন
‘পারর’-এ পরে যেটা আমি আর আমার বোন জেরি শুরু করি। এটা সেরকম কবিতা নয় যা জন
মার্টিন ছাপবে তার ব্ল্যাক স্প্যারো প্রেসের বইয়ে। পরে যখন বুকাওস্কি বুঝতে শিখল
পিচ ফলের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো তাকে তখন ওই কাজে ছাড়িয়ে যাওয়া অন্য কারো পক্ষে
সম্ভব ছিল না। আমি একটা নতুন গান গাইছিলাম, ‘বুড়ো কুত্তারা নতুন কৌশল শিখে নিতে
পারে’।
No comments:
Post a Comment